নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের অধিকাংশ ভেড়িবাঁধ গুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রতিনিয়ত আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয় সাধারণ মানুষের। একদল স্বার্থন্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলো কেটে নিজেদের সুবিধা মত কালভার্ট বসানো ও অবৈধভাবে নাইনটি বসিয়ে পানি উঠা নামা করিয়ে থাকে। যার কারণে প্রতিনিয়ত নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকি থেকে যায়।বিষয়টি নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের অবগত করানো হলেও তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে মেলেনি বলে স্থানীয়রা জানান। যার কারণে দুস্কৃতিকারীরা একের পর এক অবৈধ কাজ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। ঝুঁকিতে থাকছে উপকূলীয় অঞ্চলের বেড়িবাঁধ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বুড়িগোয়ালিনী কলবাড়ি বাজারের পাশে প্রকাশ্য দিনের বেলায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ কাটে স্থানীয় ঘের মালিক নিশি কান্ত মিস্ত্রি, উৎপল মিস্ত্রী, সুপেন্দ্র নাথ মিস্ত্রী , দীপক মিস্ত্রী, শিমুল হোসেন, যতীন্দ্র নাথ মিস্ত্রী, নিরঞ্জন মিস্ত্রী, দেবাশীষ মিস্ত্রী, সোহরাব হোসেন, মুজিবুর রহমান (নরিম) ও যোগেশ মহালদারের নেতৃত্বে সুবিধামতো ঘেরে পানি উঠানোর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভাঙ্গন জায়গায় নাইনটি পাইপ বসিয়ে পানি তোলার ব্যবস্থা করছে। কারিতাসের নির্মিত তৃতীয় মৎস্য চাষ প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুইচগেট ছিল। ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় সুইচ গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। নাইনটি বসিয়ে পানি উঠানামা করালে পুনরায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে অনেক সম্পদ। সুইচগেট নির্মাণের সময় এলাকা একবার প্লাবিত হয়। পক্ষান্তরে সর্বনাশা আইলা ও সিডরের সময়ও একই অবস্থা। সর্বশেষ বুলবুলের তাণ্ডবে এই বেহাল সুইজগেটর কারণে প্রতিটা মৎস্য ঘের মালিকরা নিঃস্ব হয়েছে। বর্তমানে সুইজগেট সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাস্তা একদম নাই বললেই চলে। এবার এখান থেকে পানি ভিতরে প্রবেশ করলে এই এলাকার ৪০০ পরিবার যে পুকুরের পানি খেয়ে জীবন ধারণ করে থাকে সেই মিষ্টি পানীর পুকুর, বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের একমাত্র প্রসূতি মায়েদের সেবাদান কেন্দ্র এবং ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার (এফ.ডব্লিউ.সি) হসপিটাল সেটাও ধ্বংস হয়ে যাবে। ইতিপূর্বে বুড়িগোয়ালিনী জাপান প্রজেক্টর ১০০ গজ দূরে সম্পূর্ণ ভেড়িবাঁধ কেটে ঘের মালিকরা নিজেদের স্বার্থে অবৈধ কালভার্ট নির্মাণ করেছে। বিষয়টি বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করলে পদক্ষেপ নেয়ার কথা থাকলেও কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে ত্রাণ চাই না প্রাণ চাই উন্নত বেড়িবাঁধ চাই । এ স্বপ্ন পূরণ হবে না বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
শ্যামনগর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহনাজ পারভীন অবহিত করলে তিনি বলেন, আমি এখন রোদ্রের মধ্যে আছি। একটুু পরে ফোন দিচ্ছি।